সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৩

রোগ-ব্যাধি হল পূর্বের কোন পাপের প্রায়শ্চিত্য।

রোগ-ব্যাধি হল পূর্বের কোন পাপের প্রায়শ্চিত্য। 


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
দেখা যায় কোন কোন সম্মানিত ব্যক্তিও রোগ-ব্যাধিকে খারাপ কাজ ও গোনাহের কারণ মনে করে এরূপ ধারণা পোষণ করেন যে, রোগ-ব্যাধি হল পূর্বের কোন পাপের প্রায়শ্চিত্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, রোগ-ব্যাধি  গোনাহের কারণ নয় বরং গোনাহের ক্ষতিপূরণ ও কাফ্ফারা স্বরূপ। এ সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুটি মহামূল্যবানহাদীস।
.
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
“নিশ্চয়ই মুমিনের একরাত্রির জ্বর তার সকল গুনাহ দূর করে দেয়।” -(তারগীব তারহীব)
.
হযরত আবু হুরাইরা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে “জ্বর” সম্পর্কে আলোচনা করা হলে এক ব্যক্তি জ্বরকে গাল-মন্দ দিল। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “জ্বরকে গালি দিও না” কেননা এটা গোনাহকে এমন ভাবে মিটিয়ে দেয় যেমন ভাবে আগুন লোহার মরিচা (জং) এবং ময়লা পরিস্কার করে দেয়।” -(ইবনে মাজাহ)
.
“হযরত উম্মূল আ’লা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, আমি অসুস্থ ছিলাম, এ সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে এসে বললেন, “উম্মুল আলা! তোমার জন্য সু-সংবাদ। মুসলমানের রোগ-ব্যাধি  তাঁর গুনাহকে দূর করে দেয়। যেমন ভাবে আগুন স্বর্ণ-রূপার ময়লা দূর করে দেয়।” -(সুনানে আবু দাউদ)

ফরয গোসল করবেন যেভাবে।

ফরয গোসল করবেন যেভাবে। 



ফরয গোসলের নিয়ম বা পদ্ধতি। ফরয গোসল করবেন যেভাবে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আপনাদের সাথে আজকে একটি শরিয়তের জরুরী বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
হয়ত অনেকেই পদ্ধতিটা জানেন না।
তাই আজকে আপনাদের সাথে এই গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়ে সংপ্তি আলোচনার চেষ্টা করবো, ইনশাআল­াহ।
.
রাতে স্বামী-স্ত্রী  সহবাস  / মিলন   করলে ভোরে ফজরের নামাযের আগে আগেই এবং দিনে সহবাস করলে পরবর্তী নামাযের পূর্বেই স্বামী-স্ত্রী দুজনে গোসল করে নেয়া আবশ্যক। এ গোসলকে জানাবতের গোসল বলে এবং গোসল না করা পর্যন্ত নাপাকী অবস্থায় থাকাকে জানাবতের অবস্থা বা জুনুবী হওয়া বলা হয়।
জানাবত তথা ফরয গোসলে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। স্বামী-স্ত্রী দুজনই যৌনাঙ্গের পবিত্রতার ব্যাপারে খুবই যত্নবান হতে হবে। স্বামী তার অঙ্গকে খুব ভালোভাবে ধৌত করবে যেন চামড়ার মধ্যে বীর্য আটকে থাকতে না পারে। অনুরূপভাবে স্ত্রীও নিজের গোপন অঙ্গকে ভালোভাবে ধুয়ে নিবে। গোসলের পূর্র্বে পেশাব করে নেওয়া উচিত এবং এসব অপবিত্র স্থান ধুয়ে নেয়ার পর উযু করবে। অতঃপর সারা শরীরে পানি ঢেলে হাত দ্বারা ভালোভাবে মলবে যাতে দেহের কোন অংশ শুকনা থাকতে না পারে এবং চুলের গোড়া পর্যন্ত পানি পৌছে যায়।
.
গোসল এমনভাবে করতে হবে, যাতে বগল, নাভী ও কানের ছিদ্র পর্যন্ত বাহিরের পানি দ্বারা ভিজে যায়। অতপর আবার সমস্ত শরীরে পানি ঢালবে। ফরয গোসলে তিনটি কাজ ফরয-
১. মুখ ভরে কুলি বা গড়গড়া করা।
২. নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছানো ।
৩. সমস্ত শরীরে একবার এমনভাবে পানি ঢালা, যাতে চুল পরিমান অংশও শকনা না থাকে।
আর এই তিনটি কাজ তিনবার করা সুন্নত।
.
ঘুমন্ত অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয়ে যায় বা জাগ্রত অবস্থায় সহবাস ছাড়াই বীর্যপাত হয়ে যায় কিংবা শুধু চুম্বন ও আলিঙ্গনের ফলেই কামনার সাথে বীর্য বের হয়ে যায় তখনও গোসল ফরয হয়ে যায়।
.
স্ত্রীর যোনি পথে স্বামীর লিঙ্গের অগ্রভাগ ঢুকে পড়লে বীর্যপাত হোক চাই না হোক তাতেই উভয়ের উপর গোসল ফরয হয়ে যায়। বিষটি আরেকটু পরিস্কার হওয়ার জন্য বলি, যখন স্বামী-স্ত্রী সহবাসের জন্য রাতে কিংবা দিনে মিলিত হয় এবং সহবাস শুরুকরতে যখন উভয়ের লিঙ্গ একত্র হয় অর্থাত স্বামীর লিঙ্গের অগ্রভাগ যখন স্ত্রীর যোনি পথে প্রবেশ করে ঠিক তখনই উভয়ের উপর গোসল ফরয হয়ে যায়। চাই সহবাস সম্পন্ন করুক বা না করুক।
.
যে সব নারী বা পুরুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ায় পুরাপুরি অভ্যস্ত নয়, নিছক অলসতা বা মিথ্যা লজ্জার অজুহাতে ফরয গোসল না করেই দিনের পর দিন কাটিয়ে দেয় এটা তাদের জন্য বড়ই দুর্ভাগ্য ও বেবরকতীয় কথা। বলা বাহুল্য যে, জুনুবীর ঘর থেকে আল্লাহর রহমতের ফিরিশতাও দূরে থাকে।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে পবিত্রতার সাথে জীবন কাটানোর তৌফিক দান করুণ। আমীন।

অবিমিশ্র বস্তুর বিশেষ উপকারিতা।

অবিমিশ্র বস্তুর বিশেষ উপকারিতা।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জেনে নিন কতিপয় অবিমিশ্র বস্তুর বিশেষ উপকারিতা।
. খেজুর ও খুরমা ঃ
যৌন শক্তির সঙ্গে খোরমা ও খেজুরের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এ কারনেই বিবাহ-শাদীতে খোরমা-খেজুর বিলি করার আদিম রীতি চলে আসছে। খোরমা খেজুর চুষলে পিপাসা দমন হয়। অধিকাংশ হালুয়া তৈরীতে এ কারণেই খোরমা ও খেজুর ব্যাবহার করা হয়। চিকিতসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গ্রন্থেও খোরমা ব্যবহার যৌন শক্তির জন্য উপকারী বলা হয়েছে। “মা জুনে আরদে খোরমা” ইউনানী চিকিতসার একটি প্রসিদ্ধ হালুয়া।
খেজুরের উপকারিতার কথা পূর্বেও উলে­খ করা হয়েছে। প্রসূতির জন্য তাজা খেজুরের ন্যায় উত্তম খাদ্য আর নেই। তাজা খেজুর না পাওয়া গেলে শুস্ক খেজুরই যথেষ্ট।
.
খেজুরের চেয়ে আর কোন উত্তম জিনিষ থাকলে আল্লাহ তা’আলা মরিয়াম (আঃ) কে ঈসা (আঃ) এর জন্মের পর তাই খাওয়াতেন। কুরআনে কারীমের সূরা মরইয়মে আল্লাহ তা’আলা হযরত মরইয়ম (আঃ) কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, খেজুরের ডাল ধরে নাড়া দাও, তুমি তরতাজা সুপক্ক খেজুর পেয়ে যাবে।  এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রসূতির জন্য খেজুরের চেয়ে উত্তম খাবার দ্বিতীয়টি আর নেই। হাকীমগন লিখেছেন, খেজুর খেলে নেফাসের রক্ত যদ্বারা দেহের ভিতরের আবর্জনা বের হয়ে যায় -তা অধিক পরিমানে নির্গত হয় এবং স্ত্রীর স্বভাবে উত্তাপ সৃষ্টি হয় ও দৈনিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেজুর দেহের শিরা কোমল করে এবং প্রসবের ফলে শিরায় খিচুনির ফলে “আকটান পেইন” নামক যে ব্যাথা সৃষ্টি হয় তা দূর করে।
. মধুঃ-
আবু নাঈম হযরত আয়েশা (রায়িঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল­াম এর নিকট মধু খুব বেশী প্রিয় ছিল।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্ল­ামের নিকট মধু এ জন্য বেশী প্রিয়ছিল যে, আল্লাহ তা’আলা বলেন, এর মধ্যে মানব জাতির রোগ নিরাময় রয়েছে। হাকীমগণ মধুর অসংখ্য উপকারিতা লিপিবদ্ধ করেছেন। সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি শক্তি বৃদ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারী।
.
মধু এবং দুধ হাজারো রকম ফুল ও দানার নির্যাস। দুনিয়ার সকল ডাক্তার একত্র হয়ে এমন নির্যাস প্রস্তুত করতে চাইলে কখনোও পারবে না। এটা শুধু মহান আল্লাহ পাকেরই শান যে, তিনি বান্দার জন্য এমন উত্তম ও বিশেষ উপকারী নির্যাস পয়দা করে দিয়েছেন।
. দুধ ঃ-
আবু নাঈম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর কাছে পানীয় দ্রব্যের মধ্যে দুধ সবচেয়ে বেশী প্রিয় ছিল।
আলেমগন লিখেন, এর রহস্য হলো এই যে, দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দেহের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়, বীর্য পয়দা করে, চেহারা লাল বর্ণকরে, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।
. রসুন ঃ-
ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহঃ) “জামউল জাওয়ামে” নামক গ্রন্থে দায়লামী থেকে একটি বর্ণনা উদৃত করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা রসুন খাও এবং তদ্দারা চিকিতসা করাও। কারণ, এতে রোগ নিরাময় হয়।
ডাক্তারদের মতেও রসুনে অনেক উপকারিতা রয়েছে। রসুন ফোড়া ভালো করে, ঋতুস্রাব চালু করে, পেশাব জারী/স্বাভাবিক করে, পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে, নিস্তেজ লোকদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা সৃষ্টি করে, বীর্য বৃদ্ধি করে, গরম স্বভাব লোকদের বীর্য গাঢ় করে, পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যাথার উপকার সাধন এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যাবহার ক্ষতিকর। এই রসুনকে আবে হায়াত বলেও আখ্যা দেয়া হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কাঁচা রসুন খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন।
.
যাফরান ঃ-
পাকস্থলী, হৃদপিন্ড, ও যকৃতের কার্যমতা বৃদ্ধি করে। অন্যান্য ঔষধের সঙ্গে যাফরান মিশ্রণ করলে ঔষধের কার্যমতা বৃদ্ধি পায়। এটা দারুন রতিবর্ধক। মন-মস্তিস্ক এবং দৃষ্টি শক্তির জন্যও যাফরানের জুড়ি নাই।
. জয়ফল যত্রিক ও দারুচিনি ঃ-
অত্যাধিক রতিশক্তি বর্ধক। বৃদ্ধদের জন্য বিশেষভাবে বার্ধক্যে লাঠির কাজ দেয়। মাংস পেশী ও গিরার ব্যাথায় উপকার সাধন করে।
. লম্বা মরিচ ঃ-
একে ছোট পিপুলও বলা হয়। মস্তিস্কের শক্তি বর্ধক, পাকস্থলী ও রতিশক্তি বর্ধক, দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে ও কফের দোষ দূর করে। পিপুল দুধের সাথে জোশ দিয়ে পান করা উপকারী।
. সুগন্ধি ঃ-
মানুষের আত্মার সঙ্গে সুগন্ধির গভির সম্পর্ক রয়েছে। সুগন্ধি মানুষের মন-মস্তিস্কের প্রফুল্ল­তা আনয়নে তাতণিকভাবে বিদ্যুতের ন্যায় কাজ করে। সুগন্ধি মানব মনে আনন্দ ও ফুর্তি সৃষ্টি করে। এ কারনেই বিয়ের সময় বর কনের গলায় ফুলের মালা পরানো হয় এবং সুরভিত স্থানে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়। সুগন্ধি ও যৌন শক্তির  মধ্যে গভির সম্পর্ক এবং চুম্বকের ন্যায় আকর্ষণ রয়েছে। আমাদের মহানবী (সঃ) মাথার চুল ও দাঁড়িতে মেশক ব্যবহার করতেন। “সাফরসেসাআদাহ” নামক কিতাবে আছে যে, নবী করীম (সঃ) এর খিদমতে কখনো কোন সুগন্ধি পেশ করা হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করতেন না। তিনি বলেন, কেউ তোমাদেরকে সুগন্ধি উপহার দিলে তা ফেরত দিও না।
.
মহান আল্ল­াহ তা’আলা ইসলামে কত নেয়ামত রেখেছেন, এবং তা মানুষের নিকট সহজ করে দিয়েছেন। উপরের আলোচনার মাধ্যমে তা আমরা সহজেই বুঝতে পারলাম। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে তার রাজী-খুশী মত চলার তৌফিক দান করুণ। আমীন।

যৌন শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য।

যৌন শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য।



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জেনে নিন কিছু যৌন শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য।
আবু নাঈম কিতাবুততীব গ্রন্থে লিখেছেন, মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খাওয়া রাসূল (সাঃ)এর কাছে খুবই প্রিয় ছিল।
..
* আলেমগণ লিখেছেন, মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীরে গঠন বাড়ে ও কন্ঠস্বর পরিস্কার হয়। মাখন ও  মধু একত্রে মিশ্রণ করে খেলে (Pleurisy)তথা বক্ষাবরক ঝিল্লি প্রদাহ রোগের উপকার হয় এবং শরীর মোটা করে। -তিব্বে নববী
.
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে , নবী করীম (সঃ) একদিন হযরত জিব্রাইল (আঃ) এর কাছে নিজের যৌনশক্তির অভিযোগ করলে জিব্রাইল (আঃ) বললেন, আপনি “হারীসা” ভক্ষণ করুন। কারণ, এতে চল্লিশজন পুরুষের শক্তি রয়েছে। – তিব্বে নববী
.
মাযাকুল আরেফীনে হাদীসটি উল্লেখ করে টিকায় লিখা হয়েছে যে, হারীসা ভাঙ্গা গম, গোশত, ঘি ও মসলা যোগে পাক করা হয়।
.
ইমাম গাযযালী (রহঃ) এহইয়াউল উলুমে লিখেছেন যে, চারটি বস্তু যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে।
১। চড়ই পাখি (ইউনানী শাস্ত্রের গৌরবময় হালুয়া লুবূহনকারীরে চড়ই পাখির মগজ যোগ করা হয়)।
২। ত্রিফলা (হরিতকী আমলকী ও বহেড়া) ।
৩। পেস্তা।
৪। তাজা শাক-সব্জি।
.
* আবু নাঈম ইবনে আবদুল্ল­াহ জাফর কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সীনার গোশ্ত অন্য সব গোশ্ত হতে উত্তম হয়ে থাকে। আলেমগন লিখেছেন যে, এর রহস্য হলো, এই গোশ্তে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। -তিব্বে নববী।
.
হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল­াহ (সঃ) এর কাছে এসে অভিযোগ করল যে, আমার ঘরে সন্তানাদি হয় না। একথা শুনে রাসূল (সঃ) তাকে ব্যবস্থা দিলেন যে, তুমি ডিম খেতে থাক।
.
তিরমিযী শরীফ ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে উম্মে মুনযির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি নবী কারীম (সঃ) এর সামনে কিছু খেজুর ও বীটচিনি পেশ করেন। রাসূল (সঃ) উপস্থিত হযরত আলী (রাযিঃ) কে খেজুর খেতে নিষেধ করেন আর বিটচিনি সম্পর্কে বললেন যে, এর থেকে খাও। এটা তোমার জন্য উপকারী।
.
* উলামায়ে কেরাম লিখেছেন যে, হযরত আলী (রাযিঃ) এর তখন চোখে ব্যাথা ছিলো আর চোখে ব্যাথা অবস্থায় খেজুর খাওয়া ক্ষতিকর। এ কারনে রাসূল (সঃ) হযরত আলী (রাযিঃ) কে খেজুর খেতে বারন করেন। আর বীট লবন সম্পর্কে বলেছেন এটা খাও, এটা তোমার জন্য উপকারী এবং তোমার অক্ষমতা দূর করে দেবে।
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, খাদ্যে সাবধানতা অবলম্বন করে চলা সুন্নত। আর এটাও বুঝা গেল যে, বিটচিনি খেলে দুর্বলতা দূর হয় এবং রতি শক্তিতে স্পন্দন সৃষ্টি হয়। -তিব্বে নববী
.
* কোন কোন বর্ণনায় আছে যে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হাসীস খুব পছন্দ করতেন। “হাসীস” তিনটি উপাদানে তৈরী হয়। খেজুর , মাখন ও জমাট দধি। এ খাদ্য দ্বারা শরীর শক্তিশালী হয় এবং রতি শক্তি বাড়ে।
.
যায়তুন তেল খাওয়া ও মালিশ করা, তিল ও খেজুর একত্রে ব্যবহার করা কালোজিরা এবং লুবিয়াও যৌন শক্তি বর্ধক। কালোজিরা এবং রসুনও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে।
.
* হযরত হুযায়ল বিন হাকাম বলেন, রাসূল (সঃ) বলেছেন, দেহের লোম তাড়াতাড়ি দূর করলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়। -তিব্বে নববী।
.
ডাক্তারদের মতে এই হাদীসে বর্নিত লোম দ্বারা নাভির নীচের অবস্থিত লোমকে বোঝানো হয়েছে। আর দাড়ি কাটার বিফল হলো যৌনশক্তি লোপ পাওয়া বা কমে যাওয়া।
.
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বুঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

বাসর রাতের করনীয় ।

বাসর রাতের করনীয় । বাসর রাতে যা করতে হয়।


বাসর রাতের নির্জন পরিবেশে যখন বর-কণের মাঝে প্রচন্ড মিলন স্পৃহা সৃষ্টি হবে তখন সহবাসের পূর্বক্ষণে তিনবার বিসমিল­াহ সহ সূরায়ে ইখলাছ এবং সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাছ পড়ার পর নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে অতঃপর সহবাসে লিপ্ত হবে। بِسْمِ اللَّهِ ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
অর্থঃ  “আল­াহর নামে শুরু করছি। হে আল­াহ! আমাদেরকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে দূরে রাখুন। আমাদেরকে যে সন্তান-সন্ততি দান করবেন, তাদেরকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে দূরে রাখুন”
তারপর বীর্যপাতের সময় বীর্যপাতের দোয়া মনে মনে পড়বে।
যার অর্থঃ “হে আল­াহ! আমাদের যে সন্তান দান করবেন তাতে শয়তানের কোন অংশ রাখবেন না।”


তাহলে হাদীসের ভাষ্যানুসারে সে সহবাস দ্বারা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে শয়তান তার কোন অনিষ্ট সাধন করতে পারবে না। শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) বলেন, এ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, সহবাস-কালীন সময়ে এই দোয়া না পড়লে শয়তান প্রভাব বিস্তার করে এবং সন্তান-সন্ততির ভেতর অশান্তি ও হানাহানি সৃষ্টি হয়।       -রিফাল মুসলিমীন


সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রী একেবারে বিবস্ত্র হয়ে যাবে না। কারণ এতে সন্তান নির্লজ্জ হয়ে জন্মগ্রহণ করে। নবীজী (সঃ) সহবাসের সময় নিজেকে এবং স্ত্রীকে আপাদ মস্তক চাদর কিংবা কোন কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতেন। কথা বলতেন ক্ষীণ কন্ঠে। আর স্ত্রীকে বলতেন, উত্তেজিত হবে না। ধীরস্থির থাকবে।
নবীজী (সঃ) আরো বলেছেন, জানোয়ারের মত হঠাত করে স্ত্রীর উপর কেউ ঝাঁপিয়ে পড়বেনা, বরং তার উচিত হলো প্রথমে চুমু খেয়ে আলিঙ্গন করে এবং মিষ্টি মধুর কথায় তাকে আগ্রহী করে তোলা। বীর্যপাতের পর সাথে সাথে স্বামী সরে যাবে না বরং ঐ অবস্থাতেই কিছুক্ষণ পড়ে থাকবে। যাতে স্ত্রীর চাহিদা পুরা হয়ে যায়। কেননা কোন কোন মহিলার বীর্যপাত দেরীতে হয়। তারপর স্বামী-স্ত্রী উভয়েই আলাদা আলাদা কাপড় দিয়ে লজ্জাস্থান মুছে পৃথক হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের ইসলামী নিয়মানুযায়ী চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Fojilot By { FaceBook }

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি তীব্র শীতের দিন তাঁর (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি ওহী নাযিল হতে দেখেছি। যখন নাযিল শেষ হত, তখন সেই কঠিন শীতের সময়ও তাঁর পবিত্র ললাট ঘর্মাক্ত হয়ে যেত। (সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ২)

অপর এক বর্ণনায় আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেন, যখন ওহী নাযিল হতো তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শ্বাস-প্রশ্বাস আটকে যেত, পবিত্র চেহারার রং বদলে গিয়ে খেজুর ডালার মত হলদে হয়ে যেত, সামনের দাঁত কাঁপতে থাকত এবং তিনি এতটা ঘর্মাক্ত হয়ে পড়তেন যে, তার ফোটাসমূহ মুক্তার মত চকচক করত। (আল-ইতকানঃ ১/৪৬)

ওহী নাযিলের এ অবস্থায় কখনও কখনও চাপ এতটা বেশী হত যে, তিনি যে পশুর পিঠে সাওয়ার থাকতেন, সেটি তাঁর গুরুভারের কারণে বসে পড়ত। একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ) এর উরুতে মাথা রেখে শোওয়া অবস্থায় ছিলেন, এ অবস্থায় ওহী নাযিল হলো। তাতে হযরত যায়েদ (রাঃ)- এর উরুতে এতটা চাপ পড়ল যে, তা ফেটে যাবার উপক্রম হলো। (যাদুল মাআদঃ ১/১৮-১৯)  





 


__♥__♥_____♥__♥__♥__♥_____♥__♥__♥__♥_____♥__♥__♥__♥_____♥__♥

হে মুসলমান ! একটু চিন্তা করে দেখ ওহী নাযিলের সময় তোমার নবীর কত কষ্ট হতো। তাঁর কত কষ্টের পরে এই কোরআন আজ তুমি পেয়েছ। কিন্তু তোমার তো কোন কষ্ট হয় নি! আর দয়ার নবীও চাননি এই উম্মত এই কষ্ট ভোগ করুক,তিনি তো চেয়েছেন তাঁর উম্মতেরা এই কোরআন পড়বে এবং সে অনুযায়ী জীবন গড়বে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমরা আজ অনেকেই মুসলমান হওয়া স্বত্বেও কোরআন পড়তে পারি না,পড়তে পারলেও অবহেলায় তা পড়ি না, আর যারা পড়ি তারা অর্থ বুঝার চেষ্টা করি না। এর থেকে কষ্টের আর কি আছে বলো তোমরা। হে নবী !এই অকৃতজ্ঞতার কারণে আমাদের তুমি ভুলে যেও না, আমাদের তুমি ক্ষমা করে দিও!!!   




শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৩

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠের ফজিলত

তিরমিযি শরীফে হযরত মা’কাল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) এর বর্ণিত রেওয়ায়েত । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : যে ব্যক্তি 

সকালে ৩ বার “আউযুবিল্লাহিস্সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজিম” পাঠ করার পর



সুরা হাশরের সর্বশেষ তিন আয়াত পাঠ করিবে । আল্লাহ তায়ালা তাহার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন,তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঠকারীর জন্য রহমতের দোয়া করবে। যেদিন এই আয়াত তিনটি পাঠ করিবে সেদিন পাঠকারী মারাগেলে শহীদের মউত হাসিল করিবে। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করিবে সেও একই মর্তবা লাভ করিবে।  (সুবহানআল্লাহ) 

Saddam  Hossain 

Mobile :- +8801670063970 , +8801811150874